ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন

যুগের পরিবর্তনের কারণে মানুষের মন-মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন হয়। ফলে অতীতে মানুষ কেবল চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে তরুণরা যুগোপযোগী ও সৃজনশীল বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করার জন্য ঝুঁকছে। বিশেষ করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন করছে উল্লেখযোগ্য তরুণ। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এমন পেশা যেখানে নিজের সৃজনশীলতা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে শতভাগ। তরুণরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাসা-বাড়ি, অফিস ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলছে। অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। চলুন তাহলে জেনে নেই কীভাবে এ পেশায় ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।

বিস্তারিত জানুন:
ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন

ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হতে চাইলে যা জানতে হবে

টেকনিক্যাল জ্ঞান

ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন করতে হলে আপনার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। বিশেষ কিছু বিষয়ে টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে:

  • প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা: ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে শর্ট ও লং কোর্স এবং স্নাতক-স্নাতকোত্তর করা যায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হতে চাইলে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করা প্রয়োজন।
  • অভিজ্ঞতা: রিয়েল এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসালটেন্সি ফার্ম, মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট কোম্পানি ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে এ বিষয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
  • টেকনিক্যাল জ্ঞান: তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকতে হবে। যার যত বেশি টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকবে সে তত দ্রুত অটোক্যাড, স্কেচয়াপ, ম্যাক্স, ভিরের ও লুমিয়নের মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে পারবে।
  • নন-টেকনিক্যাল জ্ঞান: স্পেস পরিকল্পনা, কোনো ভাবনা ও ধারণাকে আঁকার মাধ্যমে সুন্দরভাবে প্রকাশ করা, রংয়ের মান ও ভারসাম্য ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ব্যবহৃত কাপড়ের ধরন ও মান ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্স

যে কোনো বিষয়ে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে সে বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর ব্যতিক্রম নয়। তাই ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করতে পারেন যে কোনো শিক্ষার্থী।

যদি ৪-৫ বছর সময় ব্যয় করে এ বিষয়ে পড়াশোনা করা সম্ভব না হয় তাহলে ডিপ্লোমা কোর্স করা। অনেকেই ৩-৬ মাসের শর্ট কোর্স করে এ ময়দানে ক্যারিয়ার গঠন করেছে। আগ্রহী যে কেউ শর্ট কোর্স করেও এখানে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

ইন্টেরিয়র ডিজাইনে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে যাচ্ছে এবং উচ্চশিক্ষা অর্জন করছে। অন্যান্য বিষয়ে পড়াশোনা করে যেভাবে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া যায়, একই নিয়ম অনুসরণ করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের শিক্ষার্থীরাও বিদেশে যেতে পারেন।

চাকরির বাজারে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা

ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসালটেন্সি ফার্ম, রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ অনেক কোম্পানিতেই ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের চাকরির বাজারে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের প্রচুর চাহিদা তৈরি হচ্ছে।

বর্তমান ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট, আর্কিটেক্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, টুডি অপারেটর, থ্রিডি ভিজুয়ালাইজার, আর্টিস্ট, মেশন, পেইন্টার, প্লামবার ও কার্পেন্টার সহ প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে এই সেক্টরে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইন এমন সৃজনশীল পেশা যে পেশায় একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানুষ সহজেই উদ্যোক্তা হয়ে আয় করতে পারেন প্রচুর টাকা। তাই বলা যায়, দ্রুত সময়ে যারা ক্যারিয়ার গঠন করতে চান ইন্টেরিয়র ডিজাইন বেছে নেওয়া তাদের জন্য যথার্থ সিদ্ধান্ত।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সুযোগ

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তারা ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। উন্নত বিশ্বে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা। এ দেশগুলোর মানুষ নিজের বাসা, অফিস ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার খুঁজে থাকেন। অর্থাৎ আপনি যদি দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার জন্য অর্থ উপার্জন করা কঠিন কিছু নয়।

যেভাবে বাড়লো ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জনপ্রিয়তা

ধারনা করা হয় নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রচলন শুরু হয়েছিলো। সে সময় শহরের এবং সমাজের নির্দিষ্ট কিছু মানুষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জ্ঞান আছে এমন মানুষের পরামর্শ নিয়ে বাসা ও কর্মক্ষেত্রগুলো সাজাতেন।

ধীরে ধীরে এটি কমার্শিয়াল রূপ লাভ করে এবং বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এখন দেশের প্রায় বিল্ডিংয়েই রয়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের ছোঁয়া। ডিজাইন, কনসালটেশন ও এক্সিকিউশন তিনভাগে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করেন এ ডিজাইনররা।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ

ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টরকে কীভাবে আরো এগিয়ে নেওয়া যায় এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের জন্য সুযোগ-সুবিধার সব দ্বার কীভাবে উন্মোচন করা যায়, এজন্য কাজ করছে ‘ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’।

শেষ কথা

ইন্টেরিয়র কনসেপ্ট অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম। বাসা, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংকশোরুম ইত্যাদি ইন্টেরিয়র ডিজাইন করে থাকে এ ফার্ম। বাসা ও অফিসের ফার্নিচার কেমন হলে আকর্ষণ বাড়বে সে কাজগুলোও করে এ ফার্মের দক্ষ ডিজাইনররা। আপনি কী দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার খুঁজছেন? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন ইন্টেরিয়র কনসেপ্টের সঙ্গে।

কল করুন: 01618900555 :

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও তার উত্তর

যে কোনো ভবন ও রুমের ভেতরের অংশকে ইংরেজিতে Interior বলে। অন্যদিকে ইংরেজি Design শব্দের বাংলা অর্থ হলো নকশা। এই দুই শব্দ মিলে যে অর্থ দাঁড়ায় সেটি হলো, ভবন বা রুমের অভ্যন্তর নকশা করাকে ইংরেজিতে Interior design বলে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইন করার সময় প্রয়োজনীয় রং ও কাপড় ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় কাঠের ফ্লোর, ফলস সিলিং, ফলস দেয়াল, কাঁচের দরজা, কাঁচের পার্টিশন ও পিভিসি ফ্লোর মেট ইত্যাদি উপাদান ব্যবহার করা হয়।

রুম সাইজ, কতটুকু স্পেস ডিজাইন করতে হবে ও ডিজাইন কেমন হবে এসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের খরচ নির্ধারণ করা হয়। খরচের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে দক্ষ ডিজাইনারের সাথে কথা বলুন।

ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টের কাজ হলো ভবন ও রুম নির্মাণের আগে নকশা তৈরি করা। যে নকশা অনুযায়ী ভবন ও রুমের ভেতরের অংশ নির্মাণ করা হয়। অন্যদিকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ হলো নির্মিত ভবন ও রুমের ভেতরের সৌন্দর্য তুলে ধরা।

Read What Our Customers Say

  • Posted on Google
  • 5 Stars

I think interior concepts is one of the best interior design farm in Bangladesh. I really wish i met them earlier. I wish the all the best for their future prosperity.

  • Posted on Facebook
  • 5 Stars

Best interior design company in dhaka Bangladesh

  • Posted on Google
  • 5 Stars

Top inteior design company dhaka Bangladesh